বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্ট
স্বেচ্ছাশ্রম বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ে পূর্বে নেতিবাচক ধারণা থাকলেও বর্তমানে অঞ্চলভেদে এসব সংগঠনের কার্যক্রম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। উপকৃত হচ্ছে সমাজ ও জাতি। সামাজিক এসব কার্যক্রমের দিক থেকে পিছিয়ে নেই সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চরগাঁও গ্রামটি। সামাজিক অসংগতির প্রতি বিরূপ মনোভাবাপন্ন হয়ে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমমনা কতিপয় যুবক একত্রিত হয় “এসো মোরা কাজ করি, মানবতার কল্যাণে এক সমৃদ্ধ সমাজ গড়ি” স্লোগানে। গড়ে তুলেছে “আলোকিত সমাজ গড়ি” নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন। নিজেদের চারিত্রিক উন্নয়ন, নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জনসহ আর্তমানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি।
সংগঠন নিয়ে নিজের স্বপ্নের কথা জানাতে গিয়ে বায়েজিদ বোস্তামী আঙ্গিনা২৪.কমকে জানান, “স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করা আমার স্বপ্ন। আমি চাই সমাজকে নতুন কিছু উপহার দিতে। আমরা ইতিমধ্যে চরগাঁও- কাটাখালি রোড এবং চরগাঁও মেইনরোড থেকে গ্রামের ভেতরে যাওয়ার রোডে ভাঙ্গা অংশ মেরামত করেছি এবং প্রতি শুক্রবার মসজিদ পরিষ্কার করছি। নিজেদের ভালো ছাত্ররুপে গড়ে তোলার পাশাপাশি সাংস্কৃতি ও ক্রিড়া চর্চা করছি। আসলে সমাজের তরুণরা এগিয়ে গেলে এগিয়ে যাবে সমাজ ও রাষ্ট্র। তরুণরাই পারে পরিবর্তন আনতে” । স্বেচ্ছাসেবার মাধ্যমে পরিতৃপ্তি লাভের কথা জানাতে গিয়ে নূর আহমদ বলেন, “যখন মানুষের জন্য কিছু করতে পারি, তখন তৃপ্তি পাই”।
সংগঠন নিয়ে নিজের স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ডিবি সদস্য সংগঠনের অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা আতাউর রহমান সানি বলেন, “কীভাবে মানুষের জন্য কাজ করব, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবো, স্কুলগামী নয় এমন শিশুদের স্কুলগামী করবো তার স্বপ্ন দেখি। খবরের কাগজ খুললেই চোখে পরে অনেক স্থানে বাল্যবিবাহ হচ্ছে। অনেক শিশু ও তরুণী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। এসব বন্ধের জন্য মানুষকে সচেতন করার স্বপ্ন দেখি। আমার বিশ্বাস সমাজের তরুণরা এগিয়ে আসলে এসব বন্ধ করা সম্ভব হবে। এভাবেই একদিন সফলতা আসবে এবং গড়ে উঠবে সুন্দর আগামী।”